মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু, যা বলছে প্রধান দুই দল ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সহকারী কমিশনার বদলি বিএসএফের পোশাকে সীমান্তে মাদকের কারবার করতেন রেন্টু কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ ভারতে চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ও কাশ্মিরে কেমন ভোট হলো বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা উচিত : মির্জা ফখরুল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা বেআইনি : হাইকোর্ট আমার পুরো ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল : মনোজ মানবদেহে প্রথম ব্রেইনচিপ ইমপ্লান্টে ধাক্কা খেলো নিউরালিংক ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেপ্তার
সহজে চেনার উপায় ভূয়া খবর  ………..!

সহজে চেনার উপায় ভূয়া খবর  ………..!

স্বদেশ ডেস্ক: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি, তথ্য এবং ভিডিও ভুয়া বা অসত্য কি না সেটা বোঝার কিছু উপায় আছে। ভুয়া তথ্য বা গুজব সব সময়ই একটু থ্রিলধর্মী হয়। শব্দে-ছবিতে থাকে চমক। বেশ সম্মোহনী হয়ে থাকে। তাই এই খবর বা ছবি কোথা থেকে প্রচার হচ্ছে তা দেখে নেওয়াটাই সবচেয়ে নিরাপদ। কেননা এসব খবর বা ছবি কেবল বিভ্রান্তই করে না, বিপদও ডেকে আনে। গুজব বা ভুয়া খবর আসলে একটি বড়শির মতো, যার অগ্রভাগে গাঁথা থাকে মুখরোচক খাবার। অর্থাৎ খাবারটা গ্রহণ করা মানেই বড়শির টোপ গিলে ফেলা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজব/ভুয়া তথ্য-উপাত্ত চেনাটা বেশি কঠিন। এক্ষেত্রে তথ্য-উপাত্তের শিরোনামে বিভ্রান্ত হওয়ার চেয়ে এর উৎসটি যাচাই করা মঙ্গল। ফেসবুকের ক্ষেত্রে ভেরিফায়েড পেজ ছাড়াও প্রোফাইলের ছবি বা নেচারও গুরুত্বপূর্ণ। একটু বুদ্ধি খাটালেই নকল প্রোফাইলের ফাঁদ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

ছবি আসল-নকল যাচাই করার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ জ্ঞান কাজে লাগানো যেতে পারবে। যদি কোনো ছবির আকার ছোট ও রেজ্যুলেশন কম হয় তবে তা নকল হওয়ার সুযোগ বেশি। মূলত ভুয়া ছবিগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মূল ছবিকে ক্রপড, এডিট ও মিরর করে ছবির ক্যাপশন পরিবর্তন করে তা নকল হিসেবে ছড়ানো হয়। তাই যাচাইয়ের ক্ষেত্রে অবশ্যই ছবিটির প্রকৃত তারিখ, স্থান এবং এটি প্রকাশের প্রেক্ষাপট জানা জরুরি।

সামাজিক যোগাযোগে কৌশলী হোনসরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা ২০১৬ অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিমোক্ত বিষয়সমূহ প্রকাশ করা যাবে না :

১. জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থি কোনোরকম কনটেন্ট।

২. কোনো সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি পরিপন্থি কোনো কনটেন্ট।

৩. রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা-সংশ্লিষ্ট কোনো কনটেন্ট ।

৪. বাংলাদেশে বসবাসকারী কোনো ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয়প্রতিপন্নমূলক কনটেন্ট।

৫. কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয়প্রতিপন্ন করে এমন কনটেন্ট।

৬. লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো কনটেন্ট।

৭. জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয়।

সুরক্ষিত থাকার উপায়সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সবার সঙ্গে নিজের সব ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করা একদম বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যত বেশি অচেনা মানুষকে নিজের ফ্রেন্ডলিস্টে যোগ করবেন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য তত বেশি অচেনা মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করবে। তাই অচেনা মানুষকে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধু করার অভ্যাস বন্ধ করুন। আপনার জন্মদিন, পড়াশোনা পছন্দ, প্রথম পোষ্যের নাম ইত্যাদি তথ্য ব্যবহার করে সহজে আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নেওয়া সম্ভব। আর তাই হ্যাকাররা আপনার এই সব তথ্য জেনে সহজেই আপনার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফেলতে পারে। পাবলিক কম্পিউটার ব্যবহার করলে সবশেষে প্রত্যেকবার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে লগ আউট করুন। এছাড়াও নিজের কম্পিউটার থেকে মাঝেমধ্যে লগ আউট করা অভ্যাস করুন। সব সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করার অভ্যাস এখনি বন্ধ করুন। এর ফলে একটি অ্যাকাউন্ট হ্যাক হলেই আপনার সব অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে যাবে। তাই বুদ্ধিমানের মতো প্রত্যেক সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877